এলার্জি , পুরাতন ও সাধারণ সর্দি কাশিতে খুবই কার্যকরী একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধ । ইহাতে রয়েছে কনক, বাসক, যষ্টিমধু নাগকেশর, আদা, তালিশ পত্র, মনাক্কা, মধু, পিপুল ও ধাইফুল !
আরগোপেক (Ergopec) একটি শক্তিশালী H1 রিসেপ্টর এন্টাগনিস্ট যার কোন এন্ট্রি কলিনার্জিক এবং এন্ট্রি সেরটিক প্রতিক্রিয়া নেই । ব্লাড ব্রেইন বেরিয়ার অতিক্রম করে মস্তিষ্কে প্রবেশ করতে পারে না বিধায় সাধারণ কার্যকরী মাত্রায় আরগোপেক তন্দ্রাচ্ছন্নতা সৃষ্টি করে না বা রোগীর স্বাভাবিক কাজ কর্মে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে না । পুরাতন এবং সাধারণ এলার্জি , সর্দি , কাশিতে দুই থেকে তিন ব্যবহারে করলে নিরাময় হয়ে যায় ।
আরগোপেক -এর কার্যকারিতা :
* সিজনাল এলার্জিক রাইনাইটিস: আগাছা, ঘাস এবং ফুলের পরাগ থেকে সৃষ্ট এলার্জির উপসর্গ যেমন - হাঁচি , নাক থেকে পানি পড়া, নাকের ও চোখের চুলকানি , চোখে পানি আসা ও চোখ লাল হওয়া উপশমে আরগোপেক খুবই কার্যকরী একটি ঔষধ ।
* পেরিনাল এলার্জিক রাইনাইটিস: ধুলাবালি, পশুর লোম এবং ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট এলার্জিক উপসর্গ যেমন : হাঁচি , নাক ও চোখ থেকে পানি পড়া ,নাক ও চোখের চুলকানি রোধে খুবই কার্যকরী একটি ঔষধ ।
* পুরাতন ত্বকের চুলকানি দুর করে । আরগোপেক হাইভাস এর প্রাদুর্ভাব , ব্যাপকতা , স্থায়ীত্ব কাল এবং তীব্র চুলকানি ব্যাপক ভাবে কমিয়ে দেয় ।
* এলার্জেন এর ফলে সৃষ্ট এজমা দুর করে ।
* শুষ্ক কাশি প্রষমনে খুবই কার্যকারী ।
* ঘন কপ অধিকতর তরল করে ।
*ধূমপান জনিত কাশি দূর করে ।
* স্বর ভঙ্গ রোধে খুবই কার্যকরী ।
* শ্বাস কষ্ট রোধে খুবই কার্যকরী ।
আরগোপেক -এর সেবন মাত্রা ও বিধি :
* ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত : ১ চা চামুচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ প্রতি রাতে এক বার সেবন করবে ।
* ২ বছরের ঊর্ধ্বে থেকে ৫ বছর পর্যন্ত :
১ চা চামুচ এর ২ ভাগ / অর্ধেক প্রতি রাতে এক বার সেবন করবে ।
* ৫ বছরের ঊর্ধ্বে থেকে ৮ বছর পর্যন্ত :
১ চা চামুচ এর ৪ ভাগের ৩ ভাগ প্রতি রাতে এক বার সেবন করবে ।
* ৮ বছরের ঊর্ধ্বে থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত :
১ চা চামুচ প্রতি রাতে এক বার সেবন করবে ।
* ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে প্রাপ্ত বয়স্ক :
২ চা চামুচ এর প্রতি রাতে এক বার সেবন করবে । অথবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে ।