1. **ইমিউনিটি বাড়াতে সহায়ক**
* ভিটামিন D ও জিঙ্ক উভয়ই রোগপ্রতিরোধী ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
* ACV (আপেল সাইডার ভিনেগার) সঙ্গে থাকলে মিক্রোবায়োম এবং অন্ত্র স্বাস্থ্যকে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
2. **ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক সম্ভাবনা**
* অ্যাসেটিক অ্যাসিড (acetic acid) যা আপেল সাইডার ভিনেগারে থাকে, তা কিছু গবেষণায় কার্বোহাইড্রেট শোষণ কমাতে এবং চর্বি পোড়াতে সহায়তা করার সম্ভাবনা দেখিয়েছে।
* ফলে ক্ষুধা কিছুটা কম অনুভব হতে পারে, ফলে খাদ্য উপভোগ সীমিত হতে পারে।
3. **গ্লুকোজ (রক্তে চিনির মাত্রা) নিয়ন্ত্রণে সহায়ক**
* কিছু খণ্ড গবেষণা দেখাচ্ছে অ্যাসেটিক অ্যাসিড রক্তে গ্লুকোজ স্পাইকের মাত্রা কমাতে পারে, বিশেষ করে খাবারের পর।
* তবে এই ধরনের প্রভাব সব ক্ষেত্রে প্রমাণিত নয়।
4. **কোলেস্টেরল ও হৃৎপিণ্ড স্বাস্থ্য**
* কিছু গবেষণা নির্দেশ করে যে ACV কোলেস্টেরল ও “খারাপ (LDL)” কোলেস্টেরল কমাতে পারে এবং “ভাল (HDL)” কোলেস্টেরল বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
* তবে এই প্রভাব সব ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক নাও হতে পারে এবং বৈজ্ঞানিকভাবে আরও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
5. **হজমশক্তি ও অন্ত্র স্বাস্থ্য**
* ACV এ প্রাকৃতিক ব্যাকটেরিয়া ও খনিজ উপাদান থাকতে পারে, যা অন্ত্র স্বাস্থ্য ও হজম প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে পারে।
* এটি “প্রেবায়োটিক” কার্যকরী হতে পারে, যা ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে।
6. **সুগন্ধি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রভাব**
* আপেল সাইডার ভিনেগারে বা তার উপাদানগুলিতে কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণ থাকতে পারে, যা দেহের ফ্রি র্যাডিক্যাল প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
* জিঙ্ক ও ভিটামিন D-ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সাপোর্ট দিতে পারে।
7. **সুবিধাজনক ফর্ম**
* তরল ভিনেগার পান করা অনেকের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে (গলা জ্বালা, গন্ধ ইত্যাদি)। ক্যাপসুল ফর্মে এটি সহজে নেয়া যায় এবং স্বাদ বা গন্ধ সম্পর্কে চিন্তা কম থাকে। ([Amazon][2])
## সীমাবদ্ধতা ও সতর্কতা (জানতে হবে)
* অতিরিক্ত ডোজ খালি পেটে বা উচ্চ মাত্রায় গ্রহণ করলে গ্যাস্ট্রিক সমস্যা (জ্বালা, আসিড সৃষ্টির সম্ভাবনা) হতে পারে।
* ভিটামিন D ও জিঙ্কের অতিরিক্ত গ্রহণ বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে (যেমন: হাইপারক্যালসেমিয়া, ইন্টারফিয়ারেন্স অন্য খনিজের শোষণে)।
* গ্যাস্ট্রিক আলসার, গ্যাস্ট্রাইটিস, অথবা কিডনি সমস্যার মানুষ বিশেষ সাবধান হওয়া উচিত।
* ডায়াবেটিস, হৃৎপিণ্ড বা যকৃত রোগ থাকলে, বা অন্য ওষুধ গ্রহণ করলে (যেমন: ইনসুলিন, ব্লাড প্রেসার ওষুধ), সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।